সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

About

 

ইতিহাস বই সম্পর্কে কিছু কথা

Read in Bengali : Read in English

ইতিহাস বই : বি এ পাশ ও অনার্স  - একটি অনলাইন ইতিহাসচর্চা ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় (উচ্চশিক্ষা) পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উচ্চমানের ইতিহাস বিষয়ক শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী সরবরাহ করাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

এই 'ইতিহাস বই ঃ বি এ পাশ ও অনার্স-এ'র মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুসরণকারী ছাত্রছাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং তাদের সংক্ষিপ্ত ও  যথাযথ উত্তর তৈরি করে দেওয়া হয়। গ্রাজুয়েশন লেবেলের ইতিহাস-এর সিলেবাস ( পাঠ্যক্রমের) পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ করে এখানকার প্রশ্ন ও উত্তর তৈরি হয়। 

এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের  নতুন পাঠক্রমে বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তরের বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রত্যেক অধ্যায়ের জন্য মকটেস্ট দেওয়ার অনলাইন ব্যবস্থা তৈরি রেখেছি। ছাত্রছাত্রীরা ইতিহাস বইয়ের প্রত্যেকটি ইতিহাস খুটিয়ে ও বুঝে বুঝে পড়ার পর তাদের সামর্থ বুঝে নেওয়ার জন্য এই মকটেস্ট দিতে পারে। এটা একটা স্বয়ংক্রিয় মকটেস্ট ব্যবস্থা। ছাত্রছাত্রী টেস্ট দেওয়ার সাথে সাথে তার ফলাফল জানতে পারে। সে কত নম্বর পেল, কটা প্রশ্নের উত্তর ভুল দিল, তার সঠিক উত্তরটি কী হবে তা মকটেস্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেনে যাবে। এর জন্য কোন গৃহ শিক্ষকের প্রয়োজন হয় না।

এছাড়া আমরা তোমাদের জন্য রাখছি বিভিন্ন বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র । এই প্রশ্নপত্র পাওয়া যাবে Question Bank অংশে ।  পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিগত বছরের এই প্রশ্নগুলো বিশেষভাবে উপকারে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। 

আমাদের এই কাজে অভিজ্ঞ শিক্ষক, শিক্ষিকা, এবং অধ্যাপক বিনা পরিশ্রমিকে সাধ্যমত পরামর্শ ও শিক্ষণ সামগ্রী তৈরি করে সহযোগিতা করে থাকেন। এই কাজে ছাত্রছাত্রীরা সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে থাকে। আমার তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ। 


আলী হোসেন,
প্রধান সম্পাদক (অবৈতনিক) :
ইতিহাস বই (নবম - বিএ), History Book : ICSE & CBSE

১) সহ-শিক্ষক, 
বোড়াল, রক্ষিতের মোড়,
কলকাতা - ৭০০১৫৪ 

২) আজীবন সদস্য,
সদস্য সংখ্যা : এল. এম. ৫৩৫ 
১, উডবার্ন পার্ক, কলকাতা - ৭০০০২০ 
-------------------------
স্বত্বাধিকারী ও মালিকানা :
কে এন মণ্ডল 
2002, সম্প্রীতি এপার্টমেন্ট,
কলকাতা - 700096

মন্তব্যসমূহ

সবচেয়ে বেশি পঠিত প্রশ্নোত্তর

আধুনিক বিজ্ঞানে গ্যালিলিওর অবদান আলোচনা কর।

আধুনিক বিজ্ঞানে গ্যালিলিওর অবদান আলোচনা কর। কোপারনিকাস ও কেপলারের পর বিজ্ঞান বিপ্লবের তৃতীয় প্রধান চরিত্র হলেন গ্যালিলিও গ্যালিলি(১৫৬৪-১৬৪২)। পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন তিনি। মহাকাশ গবেষণায় তিনি তার নিজের হাতে তৈরি দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে কোপার্নিকাসের ধারণাকে অভ্রান্ত প্রমাণ করেন এবং পতনশীল বস্তু সম্পর্কে এরিস্টটলের বক্তব্য ভুল প্রমাণ করে নতুন তত্ত্ব তুলে ধরেন। গ্যালিলিও পতনশীল বস্তুর গতি সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের বক্তব্য ছিল, কোন একটি পদার্থের ওজনের ওপর নির্ভর করে তার গতি। ফলে একটি জিনিসের মাটিতে পড়ার গতি একটি হালকা জিনিসের থেকে দ্রুততর হয়। 1592 সালে গ্যালিলিও The Motion (De Motu) গ্রন্থে অ্যারিস্টোটলের এই ধারণার বিরোধিতা করলেন এবং বললেন যে, প্রত্যেকটি পদার্থের একটি নির্দিষ্ট ওজন আছে এবং একটি বিশেষ মাধ্যম দিয়ে যদি একটি পদার্থ চলে যায় সেই চলার গতি নির্ভর করে মাধ্যমটির ঘনত্বের উপর। পদার্থের ওজনের তারতম্য এখানে গতি নির্ধারণ করে না। কোপার্নিকাসের সমর্থক ছিলেন গ্যালিলিও। তিনি তাঁর নিজের তৈরি দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে আবিষ্কার করলেন য

কোপার্নিকান বিপ্লব বলতে কি বোঝ ?

কোপার্নিকান বিপ্লব বলতে কি বোঝ ? আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে যার নাম প্রথমেই উচ্চারিত হবে তিনি হলেন একজন পোলিশ যাজক নিকোলাস কোপার্নিকাস (1473-1543)। রক্ষণশীল যাজক সম্প্রদায়ের অংশ হয়েও তিনি তার গবেষণার মধ্য দিয়ে চিরাচরিত পৃথিবীকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণাকে বাতিল করে আধুনিক কসমোলজির সূচনা করেন। এই ঘটনাই কোপার্নিকান বিপ্লব নামে পরিচিত। নিকোলাস কোপার্নিকাস কোপার্নিকাসের আগে, খ্রিস্টীয় ধ্যান-ধারণার সঙ্গে সমন্বয়িত অ্যারিস্টটল ও টলেমির সৃষ্টিতত্ত্বই মান্যতা পেত। মনে করা হত যে, পৃথিবী অন্তরীক্ষের জ্যোতির্মন্ডলীর বাইরে অবস্থানরত এক মাটির জগৎ। বিপুল বিশ্বকে দ্যুলোক ও ভুলোকে বিভক্ত করে রাখা হত। দ্যুলোকে অবস্থানরত গ্রহ নক্ষত্র রাজি স্বর্গীয় ইথার দ্বারা নির্মিত। এগুলি অপরিবর্তনীয় অক্ষয় এবং এর গতি সংক্রান্ত নিয়মাবলী পৃথিবীতে অজ্ঞাত ও অপ্রাসঙ্গিক। আর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ মনে করত যে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্রে অবস্থিত নিশ্চল পৃথিবী এবং সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। কোপার্নিকাস তার গবেষণায় ( On the Revolutions of the Heavenly Spheres -- 1543) দেখালেন যে

গ্লাসনস্ত ও পেরেসট্রয়িকা কি? ঠান্ডা যুদ্ধের প্রশমনে এগুলোর ভূমিকা কি?

গ্লাসনস্ত ও পেরেসট্রয়িকা কী? গ্লাসনস্ত ও পেরেসট্রয়িকা গ্লাসনস্ত ও পেরেসট্রয়িকা : গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রইকা শব্দ দুটি রুশ ভাষার অন্তর্ভুক্ত। গ্লাসনস্ত শব্দের অর্থ মুক্ত চিন্তা এবং পেরেস্ত্রইকা শব্দের অর্থ পুনর্গঠন । গ্লাসনস্ত ও পেরেসট্রয়িকার পটভূমি : ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য কমিউনিস্ট সরকার। এই সরকারের মূলনীতি ছিল সম্পদের উপর সামাজিক মালিকানা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করে একটি শোষণহীন সমাজ ও অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই অর্থ ব্যবস্থা ছিল ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থার বিপরীত একটি ব্যবস্থা। ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের ফলে যে ধানতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই আর্থিক ব্যবস্থা রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থার পৃষ্ঠপোষক দেশ আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার মতাদর্শ গত দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই দ্বন্দ্ব অর্থনৈতিক পরিসরের গণ্ডি পেরিয়ে ক্রমশ রাজনৈতিক চেহারা নেয়। ফলে শুরু হয় আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই বা কোল্ড ওয়ার। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ঠান্ডা লড়াইয়ের ফল